চাঁদের সৌন্দর্য যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিকদের কল্পনায় ভাসিয়েছে। সাধারণ মানুষকে করেছে বিমোহিত। পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহটি যেন এবার নিজের সৌন্দর্য পুরোপুরি মেলে ধরতে নতুন বছরের প্রথম দিনটাকেই বেছে নিয়েছে। ১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে ‘নেকড়ে চাঁদ’।
আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের কাছে বছরের প্রথম সুপারমুনটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ নামে পরিচিত ছিল। ওই পূর্ণিমায় পৃথিবী চাঁদের আলোয় এতটাই ভেসে যায় যে নেকড়েরা ডেরা থেকে বেরিয়ে ডাকতে শুরু করে।
এবার টানা তিনটি সুপারমুন দেখার সুযোগ পাচ্ছে পৃথিবীবাসী।
এর মধ্যে নতুন বছরের প্রথম পূর্ণিমাটি হবে দ্বিতীয় সুপারমুন।
প্রথমটি দেখা গিয়েছিল ৩ ডিসেম্বর।
আর শেষটি দেখা যাবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।
শেষ সুপারমুনের নাম ‘ব্লু মুন’ বা ‘নীল চাঁদ’।
এর মানে এই নয় যে ওই সময় চাঁদের রং নীল হবে। এর অর্থ ‘অতিরিক্ত’ চাঁদ।
প্রতি দুই থেকে তিন বছর পরপর এই পূর্ণিমা আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপারমুন দেখা দেয়। ৩
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপারমুন দেখা দেয়। ৩
ডিসেম্বর চাঁদ স্বাভাবিক দূরত্বের চেয়ে পৃথিবীর ২৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার কাছে চলে আসে।
প্রতি ১৩ মাস পরপর এমনটা হয়।
এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়।
এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। নতুন বছরের প্রথম সুপারমুনটি দেখা যাবে গ্রিনিচ সময় ১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে।
বাংলাদেশে তখন ২ জানুয়ারি সকাল ৮টা ২৪ মিনিট।
সুপারমুন মানুষের জন্য চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগের বড় একটা সুযোগ বলে মনে করেন নাসার গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ গবেষণা ইউনিট গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক নোয়াহ পেত্রো।
এখান থেকে এই সুপারমুনের দেখা না মিললেও হতাশ হওয়ার তেমন কিছু নেই।
এরপর কয়েক দিনই পৃথিবীর আকাশে বড় আকৃতির চাঁদের উপস্থিতি থাকবে।
সুপারমুন মানুষের জন্য চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগের বড় একটা সুযোগ বলে মনে করেন নাসার গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ গবেষণা ইউনিট গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক নোয়াহ পেত্রো।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you for your comments.
Our Technical Support team will assist you shortly if required.
Best regards,
Thedaily71