শারীরিক সংসর্গের সময় ওরাল সেক্স (যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক স্পর্শ বা মুখমেহন) করলে পুরুষদের মাথা ও কাঁধের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন এবং একাধিক সঙ্গিনীর সঙ্গে ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দ্য ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এক গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
দ্য ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এক গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি অ্যানালস অব অনকোলোজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের অংশ হিসেবেই এই গবেষণা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো পুরুষ যদি পাঁচ বা ততোধিক নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন, তাহলে তাঁর হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ভাইরাসটি এইচপিভি নামে পরিচিত। আর এই ভাইরাসের থেকেই ওই ব্যক্তির ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ওই পুরুষ যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। মাত্র দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ গলার মধ্যভাগের ক্যানসার সারিয়ে তুলতে পারেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় অনেক কম।
গবেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের চেয়ে ওরাল সেক্সের কারণে হওয়া মাথা ও কাঁধের ক্যানসার খুব বেশি প্রকট হয়ে উঠবে। শতাধিক এইচপিভি ভাইরাস রয়েছে। তবে বিপজ্জনক হচ্ছে এইচপিভি ১৬ ও এইচপিভি ১৮ ভাইরাস। এ দুটোর কারণে সার্ভিক্যাল ক্যানসার হয়। আর এইচপিভি ১৬ থেকে অরোফারিঙ্গাল ক্যানসার বা গলার মধ্যভাগের ক্যানসার ছড়াতে পারে।
গবেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহযোগী অধ্যাপক আম্বার ডি’সুজা বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষ ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত। নারীদের ক্যানসার সৃষ্টিকারী এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। পুরুষেরা বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আর কোনো পুরুষ যদি ধূমপায়ী হন এবং জীবনে পাঁচজনের বেশি নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন, তাহলে এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাথা, গলা, ঘাড় ও মুখের ক্যানসারে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় ২০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১৩ হাজার ৮৯ নারী-পুরুষের এইচপিভি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যা থেকে মাথা কাঁধের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যে নারীর জীবনে ওরাল সেক্সের সঙ্গী নেই, তাঁর এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো পুরুষ যদি পাঁচ বা ততোধিক নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন, তাহলে তাঁর হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ভাইরাসটি এইচপিভি নামে পরিচিত। আর এই ভাইরাসের থেকেই ওই ব্যক্তির ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ওই পুরুষ যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। মাত্র দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ গলার মধ্যভাগের ক্যানসার সারিয়ে তুলতে পারেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় অনেক কম।
গবেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের চেয়ে ওরাল সেক্সের কারণে হওয়া মাথা ও কাঁধের ক্যানসার খুব বেশি প্রকট হয়ে উঠবে। শতাধিক এইচপিভি ভাইরাস রয়েছে। তবে বিপজ্জনক হচ্ছে এইচপিভি ১৬ ও এইচপিভি ১৮ ভাইরাস। এ দুটোর কারণে সার্ভিক্যাল ক্যানসার হয়। আর এইচপিভি ১৬ থেকে অরোফারিঙ্গাল ক্যানসার বা গলার মধ্যভাগের ক্যানসার ছড়াতে পারে।
গবেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহযোগী অধ্যাপক আম্বার ডি’সুজা বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষ ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত। নারীদের ক্যানসার সৃষ্টিকারী এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। পুরুষেরা বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আর কোনো পুরুষ যদি ধূমপায়ী হন এবং জীবনে পাঁচজনের বেশি নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন, তাহলে এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাথা, গলা, ঘাড় ও মুখের ক্যানসারে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় ২০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১৩ হাজার ৮৯ নারী-পুরুষের এইচপিভি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যা থেকে মাথা কাঁধের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যে নারীর জীবনে ওরাল সেক্সের সঙ্গী নেই, তাঁর এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।
আর ধূমপায়ী নন, এমন নারীদের মধ্যে মাত্র দশমিক ৫ শতাংশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। তবে যেসব নারীর দুই বা ততোধিক ওরাল সেক্সের সঙ্গী আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এইচপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও একইভাবে এই প্রবণতা রয়েছে। যারা পাঁচ বা ততোধিক নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত এবং ধূমপায়ী, তাঁদের ১৫ শতাংশের এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
এই গবেষণার আরেক গবেষক ও জনস হপকিন্সের অটোলারিঙ্গোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্যারোল ফাখরি বলেন, ‘অরোফারিঙ্গাল ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য বর্তমানে তেমন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। এই ক্যানসার সচরাচর হয় না।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও একইভাবে এই প্রবণতা রয়েছে। যারা পাঁচ বা ততোধিক নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত এবং ধূমপায়ী, তাঁদের ১৫ শতাংশের এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
এই গবেষণার আরেক গবেষক ও জনস হপকিন্সের অটোলারিঙ্গোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্যারোল ফাখরি বলেন, ‘অরোফারিঙ্গাল ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য বর্তমানে তেমন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। এই ক্যানসার সচরাচর হয় না।
আর সুস্থ মানুষের এই পরীক্ষা করাটাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কারণ, পরীক্ষায় ভুল ফলও আসতে পারে, যা মানুষের চিন্তা অযথাই বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।’
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে এখন ওরাল সেক্স করার হার বাড়ছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ-তরুণীদের কাছে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়।
যুক্তরাজ্যের প্রথম ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসে (১৯৯০-৯১) বলা হয়েছে, দেশটির ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ নারী শারীরিক সংসর্গের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন।
যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বার করা ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসে (১৯৯৯-২০০১) বলা হয়েছে, দেশে ওরাল সেক্স করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছ।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে এখন ওরাল সেক্স করার হার বাড়ছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ-তরুণীদের কাছে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়।
যুক্তরাজ্যের প্রথম ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসে (১৯৯০-৯১) বলা হয়েছে, দেশটির ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ নারী শারীরিক সংসর্গের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন।
যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বার করা ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসে (১৯৯৯-২০০১) বলা হয়েছে, দেশে ওরাল সেক্স করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছ।
৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শারীরিক সংসর্গের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সার্ভেতে দেখানো হয়েছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারী-পুরুষদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সার্ভেতে দেখানো হয়েছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারী-পুরুষদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you for your comments.
Our Technical Support team will assist you shortly if required.
Best regards,
Thedaily71