অনেক সময় সারা রাত ঘুমিয়ে সকালে জাগার পর মনে হয়, যেন ঘুমটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
সারা দিন বারবার ঘুম আসতে থাকে।
হাই তুলতে থাকেন।
অথচ ঘুমের যে খুব সমস্যা হচ্ছে তা নয়।
তাহলে এই যন্ত্রণা কেন?
সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমালেই আমাদের চলে যায়।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমালেই আমাদের চলে যায়।
ঘুমের একটা ছন্দ বা চক্র আছে।
ছন্দপতনের কারণে অনেক সময় ঘুম বিঘ্নিত হয়েছে বলে মনে হয়।
তখন সারা রাত ঘুমিয়েও মনে হয় যে ঘুম হয়নি।
* এ ধরনের সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হলো স্লিপ এপনিয়া।
* এ ধরনের সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হলো স্লিপ এপনিয়া।
অতি ওজন বা স্থূলতা এর জন্য দায়ী। এর ফলে ঘুমের মধ্যেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি ধড়মড়িয়ে জেগে ওঠেন। পরমুহূর্তে আবার ঘুমিয়ে পড়েন।
এ ঘটনা বারবার ঘটতে থাকে সারা রাতে, কিন্তু তিনি টের পান না।
ফল হলো অসম্পূর্ণ বা বিঘ্নিত ঘুম।
পুরো দিন এই অসম্পূর্ণ ঘুমের রেশ চলতে থাকে।
* বিষণ্নতা বা মানসিক সমস্যার কারণেও ঘুম বিঘ্নিত হয়।
* বিষণ্নতা বা মানসিক সমস্যার কারণেও ঘুম বিঘ্নিত হয়।
দেখা যায়, ঘুমিয়ে পড়ার পর ঘুম সম্পূর্ণ না হতেই তা ভেঙে যাচ্ছে। সেই ঘুম আর জোড়া লাগছে না।
* গুরুপাক খাওয়া, অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় রাতে ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি হতে পারে।
* ভয়, দুঃস্বপ্ন, দুশ্চিন্তা, কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রাতের ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে। অ্যালকোহল জলদি ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে বটে, কিন্তু ঘুম নিরবচ্ছিন্ন হতে দেয় না।
* গুরুপাক খাওয়া, অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় রাতে ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি হতে পারে।
* ভয়, দুঃস্বপ্ন, দুশ্চিন্তা, কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রাতের ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে। অ্যালকোহল জলদি ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে বটে, কিন্তু ঘুম নিরবচ্ছিন্ন হতে দেয় না।
ধূমপান, কফি, চা মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে বলে ঘুম সহজে আসতে চায় না।
আবার ঘুমের আগে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করার কোনো উপাদান, যেমন সিনেমা, থ্রিলিং কোনো টিভি অনুষ্ঠান, এমনকি ঝগড়াঝাঁটি বা উত্তেজনা ঘুমের বিঘ্ন ঘটাবে। দিনে আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা ব্যায়াম রাতে আপনাকে ভালো ঘুম এনে দেবে।
* ভালো নিরবচ্ছিন্ন ঘুম পেতে স্লিপ হাইজিন মেনে চলুন।
* ভালো নিরবচ্ছিন্ন ঘুম পেতে স্লিপ হাইজিন মেনে চলুন।
যেমন ঘড়ি ধরে প্রতিদিন একই সময় ঘুমানো ও জেগে ওঠা, বিছানাকে কেবল ঘুমের জন্যই ব্যবহার করা বা ঘুমের আগে টিভি, কম্পিউটার, ফেসবুক ব্যবহার না করা ইত্যাদি অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঘুমানোর দু-তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলুন। ধূমপান নিষেধ।
বিকেলের পর কোনো চা কফি নয়। ঘুমানোর আগে কোনো শক্ত ব্যায়ামও নয়।
ঘুমানোর আগে গরম দুধ, হালকা সংগীত বা বই এবং একটি উষ্ণ গোসল ভালো ঘুম এনে দেবে।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you for your comments.
Our Technical Support team will assist you shortly if required.
Best regards,
Thedaily71